নিজেকে শক্ত প্রমাণ করতে করতে আমরা কবে নিজের যত্ন নেওয়া ভুলে গেলাম?
ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয়েছে— শক্ত হতে হবে। কাঁদা যাবে না, ভেঙে পড়া যাবে না, সবকিছু সামলাতে হবে।
ধীরে ধীরে এই শেখাটাই আমাদের জীবনের নিয়ম হয়ে গেছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো— নিজেকে শক্ত প্রমাণ করতে করতে আমরা কবে নিজের যত্ন নেওয়া ভুলে গেলাম?
এই লেখাটা তাদের জন্য— যারা সব সময় ঠিক থাকার ভান করে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে খুব ক্লান্ত।
শক্ত থাকার চাপটা কোথা থেকে আসে?
সমাজ আমাদের শেখায়—
- সমস্যার কথা বললে দুর্বল
- কাঁদলে আবেগী
- সাহায্য চাইলে অক্ষম
এই ধারণাগুলো আমাদের মাথার ভেতরে এত গভীরভাবে ঢুকে যায় যে,
আমরা নিজের কষ্টকেই অবহেলা করতে শিখে যাই।
সব সামলাতে গিয়ে নিজেকেই হারানো
আপনি হয়তো খেয়াল করেননি, কিন্তু সবকিছু সামলাতে গিয়ে—
- নিজের অনুভূতি চাপা দিয়েছেন
- নিজের ক্লান্তিকে ছোট করেছেন
- নিজের প্রয়োজনকে পিছনে রেখেছেন
এই চাপা দেওয়া অনুভূতিগুলোই একদিন মানসিক ক্লান্তিতে রূপ নেয়।
শক্ত মানুষ মানেই কি কষ্টহীন?
সবচেয়ে বড় ভুলটা এখানেই।
শক্ত মানুষ মানে— যার কষ্ট নেই, এমনটা নয়।
শক্ত মানুষ মানে— যে কষ্ট থাকা সত্ত্বেও নিজেকে বোঝার চেষ্টা করে।
কিন্তু আমরা শক্ত হওয়ার নামে নিজেকে শোনাই বন্ধ করে দিই।
নিজের যত্ন নেওয়া কি স্বার্থপরতা?
অনেকেই মনে করেন— নিজের কথা ভাবা মানে স্বার্থপর হওয়া।
কিন্তু সত্যিটা হলো— নিজের যত্ন না নিলে কাউকেই ঠিকভাবে দেওয়া যায় না।
খালি কাপ থেকে কাউকে চা দেওয়া যায় না।
নিজের যত্ন মানে কী?
নিজের যত্ন মানে দামি কিছু না।
নিজের যত্ন মানে—
- নিজের কষ্টকে গুরুত্ব দেওয়া
- সবসময় শক্ত থাকার অভিনয় না করা
- প্রয়োজনে না বলা
- ক্লান্ত হলে থেমে যাওয়া
এই ছোট ছোট কাজগুলোই মানসিক শান্তির শুরু।
যদি আজ খুব ক্লান্ত লাগে
যদি আজ আপনার মনে হয়— আর পারছি না,
তাহলে একটু থামুন।
নিজেকে বলুন—আজ আমি যথেষ্ট করেছি।
সবকিছু আজ ঠিক না হলেও আপনি ঠিক আছেন।
শেষ কথা
সব সময় শক্ত থাকতে নেই।
কখনো কখনো নিজের যত্ন নেওয়াটাই সবচেয়ে বড় সাহস।
নিজেকে সময় দিন, নিজেকে দোষ দেবেন না।
Finejust সেই জায়গা— যেখানে শক্ত হওয়ার চাপে মানুষ হয়ে থাকাটাকে ভুলে যেতে হয় না।
ধীরে থাকুন, নিজের পাশে থাকুন।
— Finejust
Born from Nature, Built for You
Comments
Post a Comment
Share your thoughts with Finejust.