চুপচাপ কষ্ট পাওয়াটাই কি সবচেয়ে বেশি কষ্টের?

চুপচাপ কষ্ট পাওয়াটাই কি সবচেয়ে বেশি কষ্টের?

কিছু কষ্ট আছে,
যেগুলো কাউকে বলা যায় না।
চুপচাপ সহ্য করতে হয়,
হেসে থাকতে হয়,
আর রাতে একা হলে
সব ভেঙে পড়ে।

এই লেখাটা তাদের জন্য—
যারা কারও সামনে কাঁদে না,
কিন্তু ভিতরে ভিতরে প্রতিদিন ভেঙে যায়।


আমরা কেন চুপ করে থাকি?

আমরা চুপ থাকি কারণ—

  • সবাই বুঝবে না

  • বোঝাতে গেলে আরও কষ্ট হবে

  • মানুষ বিচার করবে

  • দুর্বল ভাববে

এই ভয়ে আমরা নিজের কষ্টটাই লুকিয়ে ফেলি।
কিন্তু কষ্ট লুকোলেই কি কমে যায়?


চুপচাপ কষ্ট জমতে জমতে কী হয়?

যে কষ্ট বলা যায় না,
সে কষ্ট ধীরে ধীরে বদলে যায়—

  • অকারণ রাগে

  • অল্পতেই বিরক্তিতে

  • সবকিছু থেকে দূরে সরে যাওয়ায়

আমরা বুঝতেও পারি না,
কবে মনটা আর আগের মতো নেই।


শক্ত থাকার অভিনয়

আমাদের শেখানো হয়েছে—শক্ত থাকো, ভাঙো না।

কিন্তু সব সময় শক্ত থাকার অভিনয়
একদিন মানুষকে ভেতর থেকে ফাঁকা করে দেয়।

কাঁদতে না পারা মানুষগুলোই
সবচেয়ে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।


কষ্ট বলাটা কি দুর্বলতা?

কষ্ট বলা দুর্বলতা না।

দুর্বলতা হলো—
নিজেকে না বোঝা,
নিজের অনুভূতিকে অস্বীকার করা।

যে নিজের কষ্ট বুঝতে শেখে,
সে ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শেখে।


মানসিক শান্তি কোথা থেকে আসে?

মানসিক শান্তি আসে—

  • নিজের সঙ্গে সৎ হলে

  • নিজের কষ্টকে ছোট না করলে

  • সব সময় ঠিক থাকার ভান না করলে

শান্তি মানে সমস্যা না থাকা নয়,
শান্তি মানে সমস্যার মাঝেও
নিজেকে ধরে রাখা।


যদি কাউকে বলা না যায়

সব কষ্ট সব মানুষের জন্য না।

কাউকে না বলতে পারলেও—

  • নিজের কাছে সত্য থাকুন

  • লিখে ফেলুন

  • প্রকৃতির পাশে কিছুক্ষণ বসুন

  • নিজেকে দোষ দেবেন না

এগুলোও এক ধরনের যত্ন।


আজ যদি মন ভারী লাগে

তাতে আপনি খারাপ নন।
আপনি ব্যর্থ নন।
আপনি একা নন।

আপনি শুধু মানুষ।

আর মানুষ মানেই
কখনো কখনো ভেঙে পড়া।


শেষ কথা

সব কষ্ট চিৎকার করে আসে না।

কিছু কষ্ট
চুপচাপ থেকে
মানুষকে ধীরে ধীরে ক্লান্ত করে দেয়।

যদি এই লেখাটা পড়ে
আপনার মনে হয়—“এই কথাগুলো আমার”

তাহলে জেনে রাখুন,
আপনি একা নন।

Finejust এই অনুভূতির জায়গাটার জন্যই।

ধীরে বাঁচুন,
নিজের যত্ন নিন।

— Finejust

Born from Nature, Built for You

Comments